-->

ভুতের জংগল


              ভুতের জংগল

 বেশ কিছু দিন আগের কথা ।
বাবা আমাকে ডেকে বললেন : মনি, তোর পরীক্ষা তো শেষ। পারলে যা না তোর দাদু ভাইকে দেখে আয়।অনেক দিন আমিও যেতে পারি না, তোর মায়ের শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না। যাবি ?
তৎক্ষনাৎ উত্তর দিলাম: যাবো ।
ঠিক আছে ।যাওয়ার ব্যবস্থা কর ।কাল সকালের ট্রেনে যেতে হবে।  তা হলে দিনে দিনে পৌঁছতে পারবি। দূরের রাস্তা।বলে বাবা বেরিয়ে গেলেন ।
এবার  ভাবতে বসলাম। বাবাকে তো বলে দিলাম - যাবো।যাওয়ার ব্যাপারটা ভাবতেই মনটা কেন জানি দমে গেলো ।
সেই কবে বাবার সাথে স্কুলে থাকতে দাদু ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দূরের পথ । ট্রেন থেকে নেমে গরুর গাড়িতে করে  কিছু পথ।তারপর হেঁটে বেশ খানিক দূর ।তারপর একটা ছোট নদি ।এককালে নাকি বড়ো সড়ো ছিলো নদিটা, নদি পার হয়ে একটা মাঝারি গোছের জংগলের পাশ  ঘেঁষে মোঠো পথে কিছু দূর গিয়ো একটা আম কাঁঠালের বাগান।তার ভেতরে পশ্চিম পাশে দাদু ভাইয়ের বাড়ি ।
দাদুভাই বছর পাঁচেক হলো মারা গেছেন, দাদি ভাই বেঁচে আছে । অনেক বয়স হয়েছে তার।আমরা সে দাদিকেও দাদু ভাই বলে ডাকি । ছোট থেকে সে দাদি আমাদেরকেও দাদু ভাই বলতো।আমরাও শুনে শুনে তাকে দাদু ভাই বলতাম।সে দাদু ভাই আমার বাবার নিজের মা নয়।তার নিজ ফুফ।আমার  নিজ দাদার  আপন বোন ।াবয়ে হয়েছিলো দূরে । বাবার  সে ফুফা মানে আমার দাদু ভাই ছিলেন মস্ত বড় আলেম। সে তল্লাটে তার অনেক নাম ধাম হাঁক ডাক ছিলো । বাবার বংশে নিজের বলতে এখন একমাত্র  ঐ দাদি মানে দাদু ভাই বেঁচে আছেন ।
                                                                                                       ু
   
     রাতে খাবার পর বাবা আমাকে ডেকে বললেনঃ তোর চিন্তার কোন কারন নেই। এখন রাস্তা ঘাট সব পাকা  ।
ট্রেন থেকে নেমে বাসস্টান্ড।বাসে চড়ে একেবারে তোর দাদু ভাই এর বাড়ির কাছাকাছি যাবি।সামান্য একটু রাস্তা হাঁটতে হবে বাইরের কিছু খাবি না।দেখেশুনে যাস্ । রাতে বাইরে ঘুরবি না ।  জায়গাটা  রাতের বেলায় তত সুবিধের না ।

Latest posts