-->

কবিতায় নিসঙ্গীয় অভিশাপ - মোজাহিদ ইফতেখার হাবিব (কবিতা)

মোজাহিদ ইফতেখার হাবিব 
#################

অস্তিত্বের ছায়ায় বিশ্বাস অলংকৃত মাইলফলক,

জীবশক্তির চোখে শেকড়, 

যা পৃথিবীর শ্বাসবেয়ে
আলোকিত বোধের সন্ধান খোঁজা
অথচ খুঁজলেই -
অবিশ্বাস্য দীর্ঘশ্বাস আমায় গতিরোধে 
বিধ্বস্তের ছায়ায় শেকড় গাড়তে চায়
নেহা ভোলাভালা বললেই বারবার বিশ্বাস চুরি হয়ে যায়
জন্মের আলোকিত শরীর দুসুখ সাবলিলায় চোখ ফোঁটালো

তারা দেখছে সদ্যজাত দৃষ্টির সুখাভিয়ন
বড্ড কষ্টের কষ্ দৃষ্টির আভায় বাতাসে প্রশ্ন করে

কতদূরে চুলের গোড়ায় স্বপ্ন থাকে?

শেকড় জনরা নিজ শ্বাসে গল্প লেখে 
সমাজবদ্ধ মোমের শৈলতে করে আমার মাথায় আগুণ দেয় 
সঙ্গজনরা সে তাপে পাপড় ভাঁজে 
শেকড়জন আর সঙ্গজন একমুঁঠো বিদ্রুপ চালান করে 
নিজেরাই ইতিহাস সম্পাদনা করে
আর আমাকে রাত পর রাত বন্ধক রেখে সূর্যকে কাতুকুত দেয়
অু-হু... আহ্, কি মস্তিস্কে ইতিহাসের আকুপাচার ..... ! না-হ্.... 

আর্শ্চয্যহীন সময়ের চোখ উপড়ে 

ওই করুনার স্রোষ্টাভক সীমানাকে পড়িয়ে দিতে
                                                        ২৭-০৮-২০১৪-জন্ম: ভোররাত

#################

রংবাজ, রং সঞ্চালনায় শত আঁশে গরিবের চোখ সৃষ্টি করেছে অঙ্কুর 

তার ঘুম থেকে স্বপ্ন উর্বর করে ফলেছে ফসল,

দাসত্বের ঘামে বিশ্বাসী মন হেসে উঠে সৃষ্টির মহানন্দে
সেই থেকে তুমি জ্ঞান ভূমিতে স্রেষ্ট কৃষকনইলে-
তুমি ছাড়া মহালয় কঞ্জুভূত হত না,
তুমি ছাড়া স্রেষ্ট বানী সিনাচিড়ে পবিত্রতার দৃষ্টি হত না,
তুমি ছাড়া সপ্তরাজির ঘুম সরোবরে স্বপ্ন ফলাতো না
রংবাজ তুমিই শাব্দিক অভিধানে সকাল বিকালের আলোক ছ্বটা, মেঘ গর্জে বৃষ্টির শ্বাসে চোখের রংধনু
তুমি ছাড়া কার সাধ্য স্বপ্নাঙ্গ রাঙ্গিয়ে রং ছিটিয়ে নবসৃষ্টির ভেলায় দুলবে, রংবাজ
#################
"কবিতায় নিসঙ্গীয় অভিশাপ "
তোমার কাছে হারমানি দেখে নিজেকে শাসন করি রৌদ্র চোখে, 
শ্বাসালো ঝড় ঘনিভূত হয়ে স্বপ্নাঙ্গ মড়মড়িয়ে শব্দ ঘায়েল করে
স্পন্দনহীন মানচিত্রে তুমি বড্ড গোলকধাঁধাঅনাদৃত অনাদৃষ্টি ভেস্তে দাও প্রতিটি দিবসে
সুধীজন, আমারকি জন্ম হয়েছিল কখনো? 
তাহলে নাট্যশালায় আমার আলোর সৌরভ নেই কেন? 
সকল মঞ্চে শুধু তুমি একাই- কেন সম্পাদনা করো, বৈরী বিশ্বাস?
হায়-হায়রে তোমার চেয়েও আমি কত উর্বর উত্তমরূপে সিক্ত 
তবু শুধু তোমারি কাছে হারমানি, মানতে হয় অসভ্যতার হিংস্বার্থ আঙ্গিনায়
                                                        সময়কাল: ২/০৫/১৯-পার্বতীপুর।
#################
যেদিন তুমি ঘুমাবে,
গুম হবে ঘুমের শর্বরী
পক্ষান্ত যদি ঘুম হয়
স্বপ্নাঘাতে দৃষ্টি উবে যাবে
তবু অন্তরালে স্রোষ্টা হও,
স্রোতধারায় ক্ষয়ে যাবে
তোমার কপাল, সেখানে 
ঘুম চুম দিয়ে আত্মস্থ হবে
#################
 বিবেচ্য সম্পাদনা
বিশ্বাস আর্তঘাতি হয়ে জুয়ার চালন মঞ্চে দৃষ্টি ছোঁড়ে
অসভ্যের মালা গাথিনী বলেকি,
নিন্দ করতে জানিনে?
#################
চারদিক বিষাক্ত বাতাস,
সেই চারদেয়ালে স্যাঁতসেতে জনিত বিশ্বাসের পঁচন ধরতে দেরী নেই
এখানে সূর্যের চোখ নিভু নিভু, 
 
তবু সমাজ এসে কড়া নাড়ে
কি করে হয়বিদায় জানিয়েছি নিরবতায়
বিশ্বাসের আর্তঘাতি প্রশ্বাস এখন নিরবতা
#################
তুমি আঁধারে ঘুমাও
আমি আঁধার কুঁড়িয়ে কুঁড়িয়ে
ঘুমের মুখ খুলে বস্তাবন্দী করি
বস্তার ভিতরে আঁধারগুলো 
অন্ধকার হয়ে চেঁচিয়ে উঠে বলে
আঁধারের ঘুম কেড়ে নিও না
আমি আলোতে ঘুম বিছিয়ে দেই 
ঝিকিমিকি রোদেল হাসিতে বিশ্বাস গজিয়ে উঠে
যেন আকাশের মুগ্ধতায় চোখ বুঁজতেই
মেঘ হই, আকাশের আনন্দাশ্রু দিয়ে 
আলোর মাঝে ঘুম ফলিয়ে দেয়
আমি ঘুমিয়ে পড়িস্বপ্ন আসে-
আকাশ আমি যতই দেখি ততই মেঘ হই, 
তুমিকি তাই আকাশের আনন্দাশ্রু দিয়ে ফসল ফলাও ?
যাই করো তাই করো
আলোর মাঝে আঁধার এলে তোমাকে ছেড়ে 
আবার আঁধার কুঁড়িয়ে অন্ধকারের গলা চিপে
বস্তাবন্দী করবোতুমি থাক বা নাই থাক,
তোমার আঙ্গিনায় আলো ছিটিয়ে বলবো
আমি ঘুমাতে গেলামএর আগে নয়
                                  ০৬-১০-১৫
#################


Latest posts