-->

আবৃত্তিধর্মী কবিতা-মোজাহিদ ইফতেখার হাবিব

মোজাহিদ ইফতেখার হাবিব
আবৃত্তিধর্মী কবিতা
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
কৃষ্ণ মেঘের মেয়ে

মাঠের উপর কৃষ্ণচুড়ায়
শাবক সময় হাতে নিয়ে
কৃষ্ণ চুলের দোলে বুঝি
মেঘ জমালে।
বাতাস হতে হেলে পড়া কৃষ্ণশ্বাসে
হৃদয় পেল কৃষ্ণফুলে
অল্প দূরে
দৃষ্টি বুঝে
দৃষ্টি বুঝে বৃষ্টি সুখে
ছিনিয়ে নিলে সুযোগ পেয়ে।
শীতের কাস্তে কাটলো এবার
দৃষ্টি ছায়া,
কৃষ্ণ ছায়া, দুপুর বেলা,
দক্ষ চাষী,
কৃষ্ণ মেঘের মেয়ে
তুমি হলে দক্ষ চাষী
কাটতে জানো
ফসল আঁটি বাঁধতে জান
উনিশ ফুটের রক্তনালী কেঁটে কুঁটে বাঁধলে আঁটি
আমায় পেয়ে কৃষ্ণগাছে।
 তাই থেকে তাই  দৃষ্টি হারাই,
তোমার চোখের কৃষ্ণগহ্বরে
জানো গো কৃষ্ণমেঘের মেয়ে ?
১০/০৩/১৯৯৭ ইং
রাজশাহী
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::: 
এখন কবি রামধনুর কৃতদাস

পরিস্কার একটা কষ্ট কবির এষ্ট্রে জমা ছিল।
অনাবিল নিঃসঙ্গতা দুঃস্বপ্নে ডেকে কবিতায়
প্রণাম করত নুয়ে নুয়ে,
যেভাবে পৃথিবী সূর্যের পাবে স্বচ্ছন্দে নতজানু হয়,
হঠাৎ একদিন অনুঘটন, ঘটায় আবরনীতে কবিতার প্রার্থনা,
মাধুরী পলকে, প্রীতম চোখে উপমায় সাজায় কোকিলী কন্ঠে
বসন্ত ছোঁয়ায় লজ্জার সেই গোধুলী মেয়ে
আকাশি ঠোঁটের পুষ্প ঘ্রাণে দুরন্ত দুরন্ত ঝড় তুলে
দ্যার্থ অভিজ্ঞতায় বললে কবি-
আমি বরফি ছায়ায় কপাল ঘিরে বাষ্প হয়েছি।
যন্ত্রণার শিরা সতেজ, তোমার কবিতা ভেঙ্গে দিতে চাই
ব্যথার এই উলঙ্গ মিছিলের ছায়ায়।
তোমার ওই আগুনি ফুলকির পরশ এঁটে দাও চুম্বনে ,
কবির ঝপসা দৃষ্টি পাথর হলো
অতীত পান্ডুলিপি মরুময় পথে বসত গড়লো
ঘুমের তৃষ্ণা ছুটে এলো শামুকের গা ছুঁয়ে
হায়, কত সহজে অবোধ শিশুর মত তার বাগানে ঘুমালো,
আর্শ্চয, কবি ঘুমালো,
এ জানা ছিল না,
ট্রাফিক জ্যামে একজন কবি কিভাবে বিছানা পাতলো
আমি দেখেছি, মেয়েটিকে ও দেখেছি
জীবন্ত ঠোঁট কাঁপছিল পর্বত চূঁড়ায়।
উচ্ছাসে তার বরফি কপালে
এখন কত সুন্দর মহাশূন্য
দৃষ্টিতে নক্ষত্র খচিত রামধনু।
আচ্ছা, কবিরা কি মনের লাঙ্গলে ঘুম চাষ করে ?
(একি-সে ও কি) ফিরে আসি স্বর্গের উপত্যকা থেকে

কারণ কবি এখন স্বর্গের নক্ষত্র খচিত রামধনুর কৃতদাস।
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
উপস্থাপনায় বিদায় অনুরাগে পরজীবি মাত্র
সবে তো এলাম,
অভিশ্র“তির উপশমে ব্যাক্তিগত আনন্দ বেদনার
বৈপ্লবিক ছন্দে বিদায়ের নোনতা ছায়ার
গান রচনা করছো কেন?
আকাশ ক্যাম্পাসের বরফ গলবার কি
খুব প্রয়োজন, খুবই প্রয়োজন
আলোকিত একটি যতিচিহ্ন কম্বল মুরি দিয়ে
নিজ আয়ত্বে  বিচরণ করার।
সবে তো এলাম, দেখা তো হয়নি
তোমর বুকের ভিতর কত কবিতা তারা হয়ে
একটা কাল রচনা হয়েছে
আবর্তিত জিহ্বায় প্রকাশিত সার্থকতায়
খানিকটা পরিমিত ভাবছন্দের অনুপ্রাসে।

একটি কবিতা ছবি এঁকে দাও
তাহলে তর্ক গজাবে না কোনদিন।
যেও না এভাবে, সবে তো এলাম
তোমার সঙ্গে আমার আশার সাধন
একটি ঢেউয়ে শুভ্র অনুরাগ।
ক্যাম্পাসের সব সাধারণ এক করে

Latest posts